নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করেছেন ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেত্রী মারিয়া করিনা মাচাদো। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই তথ্য জানান ট্রাম্প নিজেই।
গত ১০ অক্টোবর নরওয়ের রাজধানী অসলোতে নোবেল ইনস্টিটিউট থেকে ঘোষণা করা হয়, এ বছরের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন মারিয়া করিনা মাচাদো—ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য দীর্ঘদিনের আন্দোলনের স্বীকৃতি হিসেবে।
যদিও গেল কয়েক মাস ধরে গণমাধ্যমে শান্তিতে নোবেল পাওয়ার সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্পের নাম ঘুরে বেড়াচ্ছিল, শেষ পর্যন্ত তিনি সেই তালিকায় স্থান পাননি। তবুও, পুরস্কার ঘোষণার পর মারিয়া করিনা ট্রাম্পকে ফোন করে কৃতজ্ঞতা জানান।
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প বলেন,
“নোবেলজয়ী ব্যক্তি আজ আমাকে ফোন করে বললেন, ‘আমি এই পুরস্কারটি আপনার সম্মানে গ্রহণ করছি, আসলে আপনি-ই এর প্রকৃত প্রাপ্য।’ আমি মজা করে বলেছিলাম, পুরস্কারটা আমাকে দিয়ে দিতে পারো! তিনি হয়তো ভেবেছেন, আমি ভেনেজুয়েলাকে কঠিন সময়ে অনেকভাবে সহায়তা করেছি—যা সত্যিই আনন্দের বিষয়।”
নরওয়ের নোবেল কমিটি জানায়, ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের নিরলস প্রচেষ্টা ও সাহসী ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবেই মাচাদোকে শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
তবে এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টিভেন চুং বলেন,
“নোবেল কমিটি আবারও প্রমাণ করেছে, তারা শান্তির চেয়ে রাজনীতিকেই অগ্রাধিকার দেয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে পরিমাণ শান্তিচুক্তি, যুদ্ধবিরতি ও মানবজীবন রক্ষায় অবদান রেখেছেন, তা অতুলনীয়।”
অন্যদিকে নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান ইয়র্গেন ওয়াতনে ফ্রিডনেস বলেন,
“যখন স্বৈরাচারীরা ক্ষমতায় থাকে, তখন যারা ভয় না পেয়ে রুখে দাঁড়ায়, তারাই প্রকৃত শান্তির দূত। মারিয়া করিনার সাহস ও অবস্থান লাখো মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে, যা রাজনৈতিক প্রচারণার চেয়েও অনেক গভীর।