অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান জানিয়েছেন, দেশে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশুকে যেই টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে, এতে ভয়ের কোনো কারণ নেই। এ টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরীক্ষিত।
ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, টিকায় প্রোটিন ও শর্করা থাকায় দুটি উপাদানই শরীরে টাইফয়েড রোগ প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি করে। তাই এটি অন্যান্য টাইফয়েড টিকার তুলনায় বেশি কার্যকর। বাংলাদেশে এটি পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে না।
তিনি আরও জানিয়েছেন, টিকা গ্রহণের পর সামান্য লালচে হওয়া, ব্যথা, মৃদু জ্বর বা ক্লান্তি হতে পারে। কখনো কখনো অনেক শিশুর একসঙ্গে অসুস্থ বোধ করা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়াকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে ‘ম্যাস সাইকোজেনিক ইলনেস’ বলা হয়, যা মানসিক ভীতিজনিত কারণে হয় এবং টিকার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। এছাড়া টিকায় শরিয়ত-বিরোধী কোনো উপকরণ নেই এবং এটি সৌদি হালাল সেন্টারের হালাল সনদপ্রাপ্ত।
ক্যাম্পেইন শুরুর তারিখ ও তথ্য:
টাইফয়েড টিকা আগামী ১২ অক্টোবর থেকে এক মাসব্যাপী ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের দেওয়া হবে।
ঢাকায় ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪২ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, এর মধ্যে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪৭৭ জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন।
এক ডোজ টিকা প্রায় ১০–১২ বছর সুরক্ষা প্রদান করবে।
পৃথিবীর ২১টি দেশে ইতিমধ্যেই এই টিকা কার্যক্রম চলমান, এবং ন্যূনতম পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ছাড়া বড় কোনো ঝুঁকি নেই।