ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের প্রস্তাবে বিপুল সমর্থন জানিয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একদিন আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন—“কোনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র মানব না।” তার পরদিন শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত ভোটে ১৪২টি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে অবস্থান জানায়।
‘নিউইয়র্ক ডিক্লারেশন’ নামে উত্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয়, ইসরাইল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্ব নিরসনে ‘বাস্তবসম্মত, সময়সীমাবদ্ধ ও অপরিবর্তনীয় পদক্ষেপ’ নিতে হবে। ফ্রান্স ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে আনা এ ঘোষণাপত্রে গাজার যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানানো হয় এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদিত একটি অস্থায়ী আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা মিশন মোতায়েনের প্রস্তাব করা হয়।
তবে মাত্র ১০টি দেশ প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দেয়—ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র, হাঙ্গেরি, আর্জেন্টিনা, মাইক্রোনেশিয়া, নাউরু, পালাও, পাপুয়া নিউ গিনি, প্যারাগুয়ে ও টোঙ্গা। এছাড়া ১২টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।
ভোটে বিপুল সমর্থন পেলেও ইসরাইল এ সিদ্ধান্তকে “অপমানজনক” বলে নিন্দা জানায়। জাতিসংঘে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন বলেন—
“এর একমাত্র সুবিধাভোগী হলো হামাস। সন্ত্রাসীরা যখন উল্লাস করে, তখন আপনি শান্তি প্রতিষ্ঠা করছেন না; বরং সন্ত্রাসকে উৎসাহিত করছেন।”
যুক্তরাষ্ট্রও এ ভোটকে তীব্র সমালোচনা করে। মার্কিন কূটনীতিক মরগান অর্টাগাস বলেন,
“এটি হামাসের জন্য এক ধরনের উপহারস্বরূপ। শান্তির সম্ভাবনা তৈরির বদলে এই প্রস্তাব সংঘাতকে দীর্ঘায়িত করেছে এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।”
Leave a Reply