নাটোর শহরের চকবৈদ্যনাথ এলাকায় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কাঁচা চামড়ার আড়তে চলছে ফলের জমজমাট পাইকারি বাজার। দুর্গন্ধ, বর্জ্য আর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যেই প্রতিদিন গড়ে ৩০০ মণ দেশীয় ফল কেনাবেচা হচ্ছে সেখানে—যা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির জন্ম দিচ্ছে বলে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
নাটোরের সিভিল সার্জন ডা. মুক্তাদির আরিফিন জানিয়েছেন, চামড়ার আড়তে ফলের বাজার স্থায়ীভাবে চালু থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতা ও সাধারণ ভোক্তারা চর্মরোগ, চোখের রোগসহ নানা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন। তাই অবিলম্বে ফলের বাজার অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
নাটোর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল হক স্বীকার করেছেন, “অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ফল বিক্রি হওয়া সত্য। তবে, পৌরসভার নিজস্ব জায়গা না থাকায় আপাতত বাজার সরানো সম্ভব হচ্ছে না।”
অন্যদিকে ফল ব্যবসায়ী ও চাষিরা বলছেন, জায়গার অভাবে তারা বাধ্য হয়ে চামড়ার দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশেই ফল বিক্রি করছেন।
ফলচাষি জুবাইবাদ বলেন,
“নাটোর শহরে বিকল্প কোনো জায়গা নেই। আবর্জনা আর গন্ধ সহ্য করেই বিক্রি করতে হচ্ছে।”
আরেক চাষি মাহমুদ হাসান জানান,
“আমরা চাই স্বাস্থ্যকর পরিবেশে ফল বিক্রি করতে, কিন্তু ব্যবস্থা নেই।”
ফলের আড়তদার হাসিনুজ্জামান বাবু বলেন,
“পৌরসভা নিয়মিত খাজনা নিলেও নিরাপদ স্থানে বাজার তৈরি করতে পারেনি। ফলে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে চামড়ার বাজারেই ফল বিক্রি চলছে।”
তিনি আরও জানান, শহরের নিচাবাজার ও বনবেলঘড়িয়া এলাকায় সীমিতভাবে ফল বিক্রি হয়, তবে জায়গার সংকট থাকায় এই বাজার হয়ে উঠেছে স্থায়ী।
Leave a Reply