চট্টগ্রাম–৮ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর জনসংযোগকালে গুলির ঘটনার এক মাস না যেতেই রাজধানীর ঢাকা–৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের সক্ষমতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ‘বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন,
‘গতকাল শুক্রবার এক মর্মান্তিক ও মর্মস্পর্শী ঘটনা ঘটেছে। প্রকাশ্যে হাদিকে গুলি করা হয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার তো নিরপেক্ষ বলেই পরিচিত। তাহলে তাদের সময়ে এতো সন্ত্রাসী তৎপরতা কীভাবে বাড়ছে? কোথা থেকে এসব সন্ত্রাসীরা শক্তি পাচ্ছে?’
তিনি আরও বলেন,
‘ভয়াবহ বিভীষিকার পর মানুষ অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়েছিল শান্তিপূর্ণ পরিবেশের আশায়। অথচ চট্টগ্রামের ঘটনার পরও সরকার কেন যথাযথ সতর্কতা নেয়নি? কেউ কি আসন্ন ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে বানচাল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে—এই প্রশ্ন এখন সামনে চলে এসেছে।’
হাদির ওপর হামলার পর একটি রাজনৈতিক দল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপিকে জড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন,
‘ঘটনাগুলোর পেছনে কোনো মাস্টারপ্ল্যান কাজ করছে কি না—এটি এখন সবাইকে ভাবিয়ে তুলছে।’
সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন,
‘৫ আগস্টের পর দেশের মানুষের মনে যে পরিবর্তন এসেছে, সেটিকে সামনে রেখে আমরা একটি সহনশীল ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাজনীতি করতে চাই। কিন্তু এর বিপরীতে আমরা মবোক্রেসি, বিদ্বেষ এবং অস্থিতিশীলতার রাজনীতি দেখতে পাচ্ছি—যা জনগণ চায় না।’
তিনি আরও বলেন,
‘গণতন্ত্র তখনই কার্যকর হয়, যখন অর্থনৈতিক সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায়। শুধু ভাষণ আর নির্বাচনেই গণতন্ত্র সীমাবদ্ধ থাকলে জনগণের আস্থা ফিরবে না।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.