ইসরায়েলি বাহিনী একদিকে ইয়েমেনে হামলা চালিয়ে, অন্যদিকে গাজা উপত্যকায় নতুন করে তাণ্ডব চালাচ্ছে। আজ (সোমবার) গাজায় ইসরায়েলের ধারাবাহিক বিমান হামলায় অন্তত ২৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন মানবিক সহায়তা নিতে লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় হামলার শিকার হন।
গাজায় চলমান রক্তপাতের মধ্যেই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন,
“ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এই সপ্তাহেই একটি যুদ্ধবিরতির ‘ভালো সম্ভাবনা’ রয়েছে।”
এই মন্তব্য করেছেন ঠিক সেই সময়, যখন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন এবং কাতারের রাজধানী দোহায় ফের শুরু হয়েছে মধ্যস্থতাকারী আলোচনা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৭,৫২৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ১,৩৬,৬১৭ জন।
অন্যদিকে, ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হন প্রায় ১,১৩৯ জন, এবং দুই শতাধিক মানুষকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস।
গাজার পাশাপাশি ইসরায়েল ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতেও বিমান হামলা চালিয়েছে। গতকাল রাতে হুদায়দা, রাস-ইসা ও আস-সালিফ বন্দর এবং রাস কাতিব পাওয়ার প্ল্যান্টে হামলা চালানো হয়।
এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় হুথি বিদ্রোহীরা ফের ইসরায়েলের দিকে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যদিও সেগুলো ইসরায়েল আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা প্রতিহত করা হয়।
গাজায় প্রতিদিন বাড়তে থাকা মৃত্যুর সংখ্যা ও ইয়েমেনে সাম্প্রতিক হামলা মধ্যপ্রাচ্যের সংকটকে আরও ঘনীভূত করেছে। যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনার কথা বলা হলেও বাস্তবতার মাটিতে রক্তপাতের দৃশ্য আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।
Leave a Reply