গাজা ভূখণ্ডের প্রায় ৭৭ শতাংশ এখন ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার গভর্নমেন্ট মিডিয়া অফিস। এক বিবৃতিতে তারা চলমান পরিস্থিতিকে “গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূল অভিযান” হিসেবে আখ্যায়িত করে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অবিলম্বে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে। তারা এটিকে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিক নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলেও মন্তব্য করেছে।
শনিবার ভোর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক হাসান মাজদি আবু ওয়ারদা ও তার পরিবারের একাধিক সদস্য। যুদ্ধক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের মৃত্যুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।
এদিকে, তীব্র আন্তর্জাতিক উদ্বেগ সত্ত্বেও, ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ বুধবার থেকে গাজায় মাত্র ১০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। দুই মিলিয়নেরও বেশি মানুষের জন্য এটি ন্যূনতম সহায়তাও নয়, বিশেষ করে যখন পুরো অঞ্চলটিই দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি।
গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৩,৯৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,২২,৭৯৭ জন আহত হয়েছেন। তবে গাজার গভর্নমেন্ট মিডিয়া অফিস বলছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে হাজার হাজার নিখোঁজ মানুষকে মৃত হিসেবে বিবেচনা করলে এই সংখ্যা ৬১,৭০০ ছাড়িয়ে গেছে।
এই সংঘাতের সূচনা হয়েছিল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে চালানো এক আক্রমণের মধ্য দিয়ে, যেখানে প্রায় ১,১৩৯ জন ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হন এবং ২০০-র বেশি মানুষ জিম্মি করা হয়।
যুদ্ধের তীব্রতা ও মানবিক বিপর্যয় বাড়তে থাকলেও, কার্যকর আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ এখনও অনুপস্থিত। তবে যুদ্ধবিরতি ও জবাবদিহিতার জন্য বিশ্বজুড়ে আহ্বান দিন দিন আরও জোরালো হয়ে উঠছে।
Leave a Reply