ইসরাইল সরকার ঘোষণা করেছে যে গাজার মধ্যে থাকা আরও ১৩ জন ইসরাইলি জিম্মির মরদেহ উদ্ধারে সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে মিশরীয় দল ও আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরএসি)-কে অনুসন্ধানে পাঠানোর অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাতে টাইমস অব ইসরাইলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিজে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।
ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রেরিত দলটি একটি কারিগরি ও অনুসন্ধানী দল, এবং তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে নিহত জিম্মিদের মরদেহ খুঁজে বের করা। সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী মিশরীয় দলকে ইসরায়েল ও হামাস—উভয় পক্ষের কাছ থেকেই মৃতদেহের সম্ভাব্য অবস্থান সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করা হয়েছে, যাতে অনুসন্ধান কার্যক্রম কোঅর্ডিনেটেড ও কার্যকরভাবে করা যায়।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, অনুসন্ধান কার্যক্রম আইডিএফ (ইসরাইল প্রতিরক্ষা বাহিনী) কর্তৃপক্ষাধীন এলাকায় নয়, বরং তথাকথিত ‘ইয়েলো লাইন’ের বাইরে পরিচালিত হবে। অনুসন্ধানে তাঁরা এক্সকাভেটর মেশিন ও ট্রাকসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারবে বলে জানানো হয়েছে, যাতে জমি খনন বা প্রতিকূল অবস্থায়ও মরদেহ উদ্ধার সম্ভব হয়।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল তার প্রথম ধাপে হামাস ২৮ জন মৃত ইসরাইলি জিম্মির মধ্যে ১৫ জনের মরদেহ ইতোমধ্যেই হস্তান্তর করেছে; চুক্তি অনুযায়ী বাকি মরদেহগুলোও ফেরত দিতে হবে। হামাস জানিয়েছে তারা এখন মিশরীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করছে।
তবে বরাবরের মতোই মরদেহ হস্তান্তর ও অনুসন্ধানে অগ্রগতি না গেলে কড়া অবস্থানের হুঁশিয়ারি এসেছে—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যদি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মরদেহ হস্তান্তরে ত্বরান্বিত অগ্রগতি না দেখা যায়, তাহলে চুক্তিতে জড়িত অন্যান্য দেশগুলো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে মিশর ও আইসিআরসি’র অংশগ্রহণকে অনেকে মানবতাবিধান এবং মৃতদেহের সম্মানজনক নিষ্পত্তির দিকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। একই সঙ্গে এটি যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন ও দূষিত/বিভ্রান্ত এলাকায় কাজে দ্রুততা আনার একটি পরীক্ষা হবে।