গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে যেন আর কোনো শাসক স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে না পারে—এজন্য নতুন সংবিধান প্রণয়নের দাবি উঠলেও অন্তর্বর্তী সরকার বেছে নেয় সংবিধান সংস্কারের পথ। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মধ্য দিয়ে তৈরি হয় চূড়ান্ত সংস্কার প্রস্তাবনা, যা পরিচিত ‘জুলাই সনদ’ নামে।
এই আলোচনায় সক্রিয় ভূমিকা রাখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শুরুতে তারা কেবল গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি তুললেও বর্তমানে রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে জাতীয় সংসদ ও গণপরিষদ—উভয় নির্বাচন একসঙ্গে করার প্রস্তাব দিয়েছে। এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা হলে দুটি মর্যাদায় একসঙ্গে নির্বাচন করা সম্ভব।
গণপরিষদ নিয়ে আলোচনায় রাজি জামায়াতও। দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, যদিও তারা সরাসরি গণপরিষদের দাবি তোলে নি, তবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের হতে পারে। সরকারের প্রতিশ্রুতির মতো একটি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করছে তারাও।
অন্যদিকে বিএনপি গণপরিষদ নির্বাচনের যৌক্তিকতা মানতে নারাজ। স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, দেশের একটি কার্যকর সংবিধান আগে থেকেই রয়েছে। নতুন করে গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি আসলে তা কেবল নির্বাচন বিলম্বিত করা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কৌশল মাত্র। তিনি সতর্ক করে বলেন, নির্বাচন যত দেরি হবে, দেশে
Leave a Reply