কুদস আজ আবারও মুখর হয়ে উঠেছে বীরদের পদচারণায়। ইহুদিবাহিনীর অহংকারকে ভেঙে দিয়ে তাদের দুর্গপ্রাচীর ধ্বংস করেছে প্রতিরোধযোদ্ধারা। সাবমেরিন, শত শত মিসাইল কিংবা প্যারাসুটে নামা স্নাইপার—সবকিছু মিলিয়ে যেন বদরের যুদ্ধের স্মৃতিকে জাগিয়ে তুলেছে এই লড়াই। আয়রন ডোম ভেঙে পড়েছে, আর শত্রুরা বিস্ময়ে বলছে, “এ অসম্ভব, অবিশ্বাস্য।”
এই দুঃসাহসী লড়াইয়ের পেছনে যিনি অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছেন, তিনি যেন আধুনিক যুগের সালাহুদ্দিন আইয়ুবি। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে শত্রুর চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছেন, ভয়কে পরোয়া না করে আল্লাহর উপর ভরসা রেখে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। ইয়াহয়া সিনওয়ারের মতো নেতাদের সংগ্রামী চরিত্র আজ আবারও ফিলিস্তিনের মানুষকে ঐতিহাসিক লড়াইয়ের স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে।
গাজার মায়েরা সন্তানদের প্রতিজ্ঞা করান, তারা যেন সম্মুখযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করে। এই ভূমির শিশুরাও চোখের দৃষ্টিতে কাপুরুষদের কলিজা কাঁপিয়ে দেয়। এমন পরিবেশে জন্ম নেয়া প্রতিটি যোদ্ধাই উম্মাহর মরুশার্দুল।
যেমন একদিন হিতিনের যুদ্ধে সুলতান নুরুদ্দিন মাহমুদ জিনকি (রহ.) স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছিলেন সালাহুদ্দিন, তেমনি আজকের প্রতিরোধযোদ্ধারাও ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে। আল্লামা রুশদ একবার বলেছিলেন, শক্তিশালীর শরীরে দুর্বলদের ছোট ছোট আঘাতই পরাজয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সেই কথাই যেন সত্য প্রমাণিত হচ্ছে।
হামাস ইতিমধ্যে তাদের তিনজন শীর্ষ নেতা হারিয়েছে, কিন্তু তবুও প্রতিরোধ ভাঙেনি। বরং মনে হচ্ছে ইতিহাস তার গৌরবময় অবস্থায় ফিরে এসেছে। যেমন একদিন মূতার যুদ্ধে একে একে তিন নেতা শহীদ হওয়ার পর খালিদের হাতে বিজয় এসেছিল, তেমনি আজও প্রতিরোধের দায়িত্ব নতুন নেতৃত্বের কাঁধে।
হে আল্লাহ! আবারও খালিদের হাতে বিজয় দান করুন, ইতিহাসের মতো আজকের সংগ্রামও হোক চূড়ান্ত মুক্তির পথপ্রদর্শক।
Leave a Reply