কাতারে এক সপ্তাহব্যাপী সরকারি সফর শেষে আজ সোমবার (৫ মে) দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সফরকালে দ্বিপক্ষীয় সামরিক সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা শিল্প উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ বিনিময় এবং ক্রীড়া কূটনীতি ঘিরে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন তিনি। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে তার সফরশেষে দেশে ফেরার তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সামরিক ও বেসামরিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সফরের সময় কাতারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শেখ সাউদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুলআজিজ বিন ফয়সাল আল থানির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ ছাড়া কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল জসিম বিন মুহাম্মদ আল মানাই ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর উপপ্রধানসহ সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়।
বৈঠকগুলোতে প্রশিক্ষণ সহযোগিতা, যৌথ সামরিক অনুশীলন, প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিরক্ষা উদ্যোগ, দক্ষ জনশক্তি বিনিময় এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের কাতারে কর্মসংস্থানের সুযোগ নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
ক্রীড়া সহযোগিতা ও ‘অলিম্পিক ভিলেজ’ নির্মাণে আগ্রহ
সফরের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল কাতার অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট শেখ জোয়ান বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠক। সেখানে দুই দেশের ক্রীড়া খাত—বিশেষ করে প্রশিক্ষণ, যুব ক্রীড়া উন্নয়ন এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশে একটি ‘অলিম্পিক ভিলেজ’ নির্মাণের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বৈঠক ক্রীড়া কূটনীতির এক সম্ভাবনাময় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন মাত্রা
সফরসুচি অনুযায়ী সেনাপ্রধান গত শনিবার (৩ মে) ঢাকা ত্যাগ করে কাতারে পৌঁছান। পরবর্তী দুই দিন তিনি ধারাবাহিকভাবে কাতারের রাষ্ট্রীয় এবং সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন, যেখানে পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতা ভিত্তিক সম্পর্ক আরও গভীর করার রূপরেখা উপস্থাপিত হয়।
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যকার সামরিক এবং কৌশলগত অংশীদারিত্ব একটি নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে, যা ভবিষ্যতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
Leave a Reply