নির্ধারিত দাম থাকলেও এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রিতে চলছে অনিয়ম। ডিলার ও খুচরা বিক্রেতাদের হাত ঘুরলেই দাম বাড়ছে, ফলে সাধারণ ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত।
কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা শাহীদা আক্তার সেপ্টেম্বর মাসে ১২ কেজির একটি সিলিন্ডার কিনেছেন ১,৪৫০ টাকায়, যেখানে সরকার নির্ধারিত মূল্য ছিল ১,২৭০ টাকা। একইভাবে রাজধানীর বাংলামোটরের ব্যবসায়ী তোতা মিয়াকেও দিতে হয়েছে ১,৪০০ টাকা, যা নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১৩০ টাকা বেশি।
বিক্রেতারা বলছেন, বাসায় পৌঁছে দিতে পরিবহন খরচ যোগ হয়। তবে ভোক্তাদের অভিযোগ—এই খরচের অজুহাতে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
ভোক্তা সংগঠন ক্যাব বলছে, এ খাতে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ক্যাবের জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল আলমের মতে, “মনিটরিংয়ের অভাবেই বাজারে এই অরাজকতা তৈরি হয়েছে।”
অন্যদিকে বিইআরসি দাবি করছে, বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের ঘাটতির কারণে কঠোর ব্যবস্থা নিলে কৃত্রিম সংকট দেখা দিতে পারে। কমিশনের চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ জানান, লোকবল ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের ঘাটতির কারণেও কার্যকর তদারকি সম্ভব হচ্ছে না।
ভোক্তা অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান পরামর্শ দিয়েছেন—অতিরিক্ত দাম আদায়ের অভিযোগ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে আনুষ্ঠানিকভাবে জমা দিতে, যাতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ভোক্তারা প্রতিনিয়ত বেশি দামে গ্যাস কিনতে বাধ্য হচ্ছেন, অথচ সরকারি তদারকি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিষ্ক্রিয়তায় সমাধান অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।
Leave a Reply