জাতিসংঘের সব শর্ত পূরণের পর ২০২৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হবে। হাতে সময় মাত্র ১৫ মাস থাকলেও ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই স্বল্প সময়ে যথাযথ প্রস্তুতি সম্ভব নয়। তাই তারা এলডিসি উত্তরণে একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছেন।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন ও বাংলাদেশের প্রস্তুতি’ বিষয়ক সেমিনারে ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা এই দাবি জানান।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন,
“ব্যবসায়ীদের অন্ধকারে রেখে সরকার এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনে যাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান আইনে উত্তরণের পর জিএসপি প্লাস সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ। তাই উত্তরণ তিন বছর পিছিয়ে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।”
পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজ বলেন,
“এলডিসি উত্তরণ বাতিলের সুযোগ নেই, তবে সময় নির্ধারণে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে খোলামেলা আলোচনা জরুরি।”
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকার অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে। তাই এলডিসি উত্তরণ এখন সরকারের হাতে নেই, বরং বৈশ্বিক কাঠামো অনুসারে এগোতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন,
“এলডিসি উত্তরণের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের ঝুঁকি নেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে, যাতে বাণিজ্যে গতি আসে।”
Leave a Reply