নোবেল শান্তি পুরস্কার জেতার ব্যাপারে প্রবল আগ্রহ দেখিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে শেষ পর্যন্ত পুরস্কারটি গেছে ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদোর হাতে। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে— কেন ট্রাম্প নোবেল পেলেন না?
এ নিয়ে এক সাংবাদিক নোবেল কমিটির কাছে জানতে চান, ট্রাম্পকে পুরস্কার দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে যে চাপ এসেছিল, তা কি কোনোভাবে সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলেছিল?
জবাবে নোবেল শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান জোর্গেন ওয়াটনে ফ্রায়ডেন্স বলেন,
“নোবেল শান্তি পুরস্কারের ইতিহাসে আমরা বহু প্রচারণা, মিডিয়া উত্তেজনা এবং হাজার হাজার চিঠি পেয়েছি। কিন্তু আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র পুরস্কারপ্রাপকদের কাজ এবং আলফ্রেড নোবেলের করা উইলের ওপর ভিত্তি করে নিই।”
বিবিসি জানায়, গত কয়েক মাস ধরে ট্রাম্পের নোবেল পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চললেও শেষ পর্যন্ত তার নাম চূড়ান্ত তালিকায় ছিল না।
ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তিনি বহু যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছেন এবং নিজেকে ‘শান্তির প্রতিষ্ঠাতা’ ও ‘সেতু নির্মাতা (মধ্যস্থতাকারী)’ হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন। বিশেষ করে গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করার পর থেকেই অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন— এবার হয়তো নোবেল তার হাতেই উঠবে।
জানা গেছে, ওভাল অফিসের দুই মেয়াদে ট্রাম্পকে অন্তত ১০ বারের বেশি নোবেলের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল, যার মধ্যে ছিলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন ও নরওয়ের আইনপ্রণেতারা।
তবে নোবেল কমিটি স্পষ্ট করেছে—
“মনোনয়ন পাওয়া মানেই প্রার্থী হওয়া নয়, এবং বিজয়ীর নাম ঘোষণার আগে কোনো প্রার্থীর তালিকাও প্রকাশ করা হয় না।”
সূত্র: বিবিসি