টি-টোয়েন্টিতে ছক্কা মারতে না পারার জন্য বহুদিন ধরে সমালোচনায় ছিল বাংলাদেশ। শারীরিক সক্ষমতা থেকে শুরু করে ব্যাটিং টেকনিক—সবকিছুর ওপরই উঠেছিল প্রশ্ন। কিন্তু ২০২৫ সালে এসে সেই চিত্র একেবারেই বদলে গেছে। রীতিমতো পাওয়ার হিটিংয়ে বিপ্লব ঘটিয়ে প্রথমবারের মতো এক পঞ্জিকাবর্ষে ডাবল সেঞ্চুরি ছক্কা হাঁকিয়েছে বাংলাদেশ দল।
গতকাল (২ ডিসেম্বর) আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি চলাকালীন ২০০ ছক্কার মাইলফলক স্পর্শ করে টাইগাররা। বছরের শেষ দিকে এসে তা পৌঁছে গেছে ২০৬ ছক্কায়—যা বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন রেকর্ড।
এর আগে, ২০২৪ সালে পুরো বছরজুড়ে বাংলাদেশের ছক্কা ছিল মাত্র ১২২টি। এক বছরের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ উন্নতি।
এই বছরে মোট ১৮ জন বাংলাদেশি ব্যাটার ছক্কা মেরেছেন। তবে সবচেয়ে বড় অবদান শীর্ষ চার টপ-অর্ডারের—তানজিদ তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন দাস ও সাইফ হাসান। এই চারজনই মিলিয়ে মেরেছেন ১২৭টি ছক্কা।
তানজিদ তামিম – ৪১ ছক্কা (এক বছরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ)
পারভেজ ইমন – ৩৪ ছক্কা
সাইফ হাসান – ২৯ ছক্কা
লিটন দাস – ২৩ ছক্কা
মিডল অর্ডারে জাকের আলী অনিক ২৩ ইনিংসে মেরেছেন ১৯টি ছক্কা। তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে এসেছে ১৪টি।
যদিও গত বছর ২১টি ছক্কা হাঁকানো জাকের ও হৃদয়ের সংখ্যা এবার কিছুটা কমেছে।
ছক্কা মারার দাপটে উন্নতি হলেও বৈশ্বিক তালিকায় বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে।
সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারা দেশ অস্ট্রিয়া—শুধু ২৮ ম্যাচে তাদের ছক্কার সংখ্যা ৩২৬!
টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে পাকিস্তান (২৩৫ ছক্কা, ৩৪ ম্যাচ)।
পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরেই অবস্থান বাংলাদেশের।
সব মিলিয়ে, ২০২৫ সাল বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাওয়ার হিটিংয়ের এক নতুন যুগের সূচনা করে দিয়েছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.