ইরানের ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনায় মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উদ্ধার করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। দেশটির নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, এমন চেষ্টা হলে ইরানকে ফের সামরিক হামলার মুখে পড়তে হতে পারে।
গত জুনে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। এতে ইস্পাহানসহ অন্তত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় ক্রুজ মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামলার পর দাবি করেন, “ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে।” তবে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর একটি অংশ এই দাবির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে।
এরইমধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইসরায়েলি সিনিয়র কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, “ইরানের মাটির নিচে থাকা ইউরেনিয়াম পুনরুদ্ধারের চেষ্টা নজরে এলে, ইসরায়েল পুনরায় হামলার সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করবে না।” তার দাবি, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি অন্তত দুই বছর পিছিয়ে গেছে।
এছাড়া তিনি জানান, ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনায় ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইউরেনিয়াম মজুত ছিল, যা হামলার পর ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে রয়েছে। যদি তেহরান সরকার ওই ইউরেনিয়াম উদ্ধারের চেষ্টা চালায়, তাহলে তা গোয়েন্দা নজরদারিতে ধরা পড়বে এবং ইসরায়েল তার জবাব দেবে।
এই পরিস্থিতিতে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আন্না কেলি বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে পরিচালিত অপারেশনে ইরান তার পারমাণবিক সক্ষমতার মূল স্তম্ভ হারিয়েছে। এখন বিশ্বের নিরাপত্তা অনেকটাই নিশ্চিত।”
এদিকে পেন্টাগন এক বিবৃতিতে জানায়, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ১ থেকে ২ বছর পিছিয়ে গেছে। তবে সামরিক ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান এখনো পারমাণবিক পুনর্গঠনের চেষ্টা চালাতে পারে, যা ভবিষ্যতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।
Leave a Reply