চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই–নভেম্বর) বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানিতে মিশ্র চিত্র দেখা গেছে। সামগ্রিকভাবে রফতানি সামান্য বেড়েছে হলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও নতুন বাজারগুলোতে রফতানি কমেছে। বিপরীতে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রফতানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি হয়েছে মোট ১ হাজার ৬১৩ কোটি মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল ১ হাজার ৬১১ কোটি ডলার। অর্থাৎ, সার্বিকভাবে পোশাক রফতানিতে সামান্য প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
তবে প্রধান রফতানি গন্তব্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে এ সময় রফতানি কিছুটা কমেছে। জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ইইউভুক্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে ৭৮৩ কোটি ডলার, যেখানে আগের বছর একই সময়ে রফতানি হয়েছিল ৭৯১ কোটি ডলার। ফলে ইইউ বাজারে পোশাক রফতানি কমেছে প্রায় ১ দশমিক ০৩ শতাংশ।
একই সঙ্গে অপ্রচলিত বা নতুন বাজারগুলোতেও রফতানি হ্রাস পেয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে নতুন বাজারে পোশাক রফতানি দাঁড়িয়েছে ২৬৭ কোটি মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের ২৭৫ কোটি ডলারের তুলনায় ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ কম।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রফতানি বাজার যুক্তরাষ্ট্রে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৪ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের ১৭৯ কোটি ডলারের তুলনায় ৩ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, ভোক্তা চাহিদার পরিবর্তন এবং বাজারভিত্তিক নীতিগত পার্থক্যের কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে রফতানিতে এই ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের পোশাক খাতের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.