আফগানিস্তানে মার্কিন ঘাঁটি পুনঃস্থাপন পরিকল্পনায় একযোগে বিরোধিতা জানিয়েছে দেশটির প্রতিবেশী ও আঞ্চলিক শক্তিগুলো। সম্প্রতি মস্কোতে আয়োজিত বৈঠকে রাশিয়া, চীন, ইরান, ভারত, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও কিরগিজস্তানের কর্মকর্তারা তালেবান সরকারের সঙ্গে একমত হয়ে বলেন— কোনো বিদেশি সামরিক ঘাঁটি আফগান মাটিতে গ্রহণযোগ্য নয়।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত চাওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি আফগানিস্তান বাগরাম ঘাঁটি ফিরিয়ে না দেয়, তবে খারাপ কিছু ঘটবে।” কিন্তু তালেবান জানিয়ে দিয়েছে, তারা কোনোভাবেই এই ঘাঁটি বিদেশি বাহিনীর হাতে দেবে না।
রাশিয়া নেতৃত্বাধীন বৈঠকের পর প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, বিদেশি সামরিক অবকাঠামো স্থাপনের প্রচেষ্টা “আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে নয়।” বিশ্লেষকদের মতে, এই ঐক্যবদ্ধ অবস্থান দেখাচ্ছে যে আফগানিস্তান এখন আর কোনো বৈদেশিক প্রভাব নয়, বরং আঞ্চলিক শক্তিগুলোর ‘যৌথ দায়িত্বের’ ক্ষেত্র হয়ে উঠছে।
তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি না দিলেও প্রতিবেশী দেশগুলো এখন তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক যোগাযোগ বাড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাগরাম ইস্যু তালেবানকে একদিকে যেমন আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ফেলছে, অন্যদিকে এই আঞ্চলিক সমর্থন তাদের অবস্থানকেও শক্ত করছে।